শিক্ষাগুরু
আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির
সত্যি তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা এতোটাই ব্যাপক যে মা বাবার পরেই তাঁরদের অবস্থান। শিক্ষক পিতৃতুল্য এই কথা শুনে শুনে সবাই বেড়ে উঠেছি। ছোটবেলা থেকে সবাই জেনেছি
সাধারণ শিক্ষক বলেন আর ধর্মীয় শিক্ষক বলেন তাঁরা আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় । ধর্মীয় শিক্ষকের বেলায় বরং একটু বেশি বৈকি। আপনাদের মনে থাকার কথা স্কুলে ধর্মের হুজুরের প্রতি আমাদের ভয় শ্রদ্ধা দুটোই অন্যদের চেয়ে বেশিই থাকতো ।
আসলে শিক্ষক অনুপ্রেরণার মূল উৎস।আমাদের এগিয়ে যাবার পথ বাতলে দেন তাঁরাই। এখনো কৃতজ্ঞতায় শ্রদ্ধায় নত হই সেইসব শিক্ষাগুরুদের নাম স্মরণে । তো আজকের প্রেক্ষাপটে কি দেখছি আমরা
শিক্ষক যে মানসিকতা যে রাজনীতির অনুসারীই হতেই পারে তাকে কেউ বাঁধা দিতে পারেনা বা দেয়ও না। শিক্ষকতাকালে তা প্রভাবিত করলেই বড় বিপত্তি ঘটে, কখনো কখনো তা হয়ে উঠতে পারে বিপর্যয়ের কারণ । যা কখনোই কাম্য নয়। শিক্ষকের কাজ ছাত্রকে রাজনীতির দিকে যেতে উদ্বুদ্ধ করা নয় বা বাধা দেয়াও নয় । আবার ছাত্র যখন রাজনীতি করছে সেটা একান্তই তার নিজস্ব শিক্ষকের সেটা নিয়ে মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে না। শিক্ষক দেখার চেষ্টা করবেন তার ছাত্র সঠিক পথে এগুচ্ছে কিনা।
তবে এখানে শিক্ষক শিক্ষাগুরু ধর্মীয় হুজুর যে ই হউন তিনি ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় জ্ঞান দান করবেন যেনো সন্তানতুল্য ছাত্রটি মানুষ হয়, ভালো পথে ,আলোর পথে, সততার পথে এগিয়ে যায় বা যেতে পারে। ভুল পথে গেলে অবশ্যই সুপরামর্শ দেবেন।
শিক্ষকের দেয়া জ্ঞানের মাধ্যমেই নিজের, পরিবারের এবং দেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে এটাই হবে প্রকৃত শিক্ষা।রাজনীতি প্রত্যেকে করতেই পারি সে রাইট এদেশ আমাদের দিয়েছে কিন্তু তা যেনো কখনোই আমার বা আমাদের নেতৃত্বের হাতিয়ার বা স্বার্থে আমার শিশু ছাত্রছাত্রীকে না করি। যে জানেই না কেন রাস্তায় নেমেছে তার সাথে প্রতারণা করা কি শিক্ষকের উচিত?
সে নেমেছে শুধু তার শিক্ষাগুরুর আদেশে। মনে রাখবেন শিক্ষকের অবস্থান কতোটা শ্রেষ্ঠ কতোটা সম্মানের । আপনি ডাকলেই সাড়া পাবেন তবে আপনি ডাকবেন জ্ঞানেরপথে রাজনীতির জন্য কক্ষনো নয়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তার তান্ডব দেখে সারাদেশে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জন্ম দিচ্ছে শিক্ষকরা তাহলে কি শিক্ষা দেন?
আমার সন্তান কি তাহলে প্রয়োজনীয় জ্ঞান পেয়ে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে না!
যে জ্ঞান পাবার আশায় প্রতিষ্ঠানে গুরুর সংস্পর্শে পাঠাচ্ছি সেটা যে মাধ্যমই হউক । আমাদের দেশে মাধ্যমের অভাব নাই *শ্রেণিভেদে শিক্ষা সেটা নিয়ে পরে লিখবো।
সে যাই হউক যথার্থ জ্ঞান অর্জনের করবে এ আশায় অভিভাবক তার সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে পাঠায়, শিক্ষকের ছায়ায় রাখে । তারা ভাবে নিজের চেয়ে ও নিরাপদ স্থানে পাঠালাম জ্ঞান আহরণে। জ্ঞান কতোটা আহরণ হলো তাও ভেবে দেখার অবকাশ থেকে গেল।
আপনি যে লেভেলেই শিক্ষকতা করুন আপনার নৈতিক দায়িত্ব পালন করুন। আপনাকে অনুকরণ করবে, অনুসরণ করবে সে কাজটিই করুন। আমার ছাত্র যেনো কিছুতেই আমার ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত না হয়।
সকল পর্যায়ের শিক্ষকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর শুভকামনা থাকলো।
লেখক: মাসুদা তোফা
সহযোগী অধ্যাপক