কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নাজমা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের ভাওয়ারখোলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমা আক্তার একই গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরত্বর আহত দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (কমিউনিটি ক্লিনিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম (৬০) ও আলাউদ্দিনের ছেলে ফারুককে (৪৫) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আব্বাসীর সাথে একই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিরাজ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন এলাকায় আসতে পারেনি সিরাজ মিয়া। শুক্রবার তার বড় ভাই আব্দুস সালামের মেয়ের বিয়েতে ভাওরখোলা নিজ গ্রামে আসেন। খবর পেয়ে ফারুক আব্বাসীর লোকজন তার উপর হালা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার ভাই আব্দুস সালামের স্ত্রী নাজমা আক্তার নিহত হন।
ফারুক আব্বাসী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় অপরিচিত কিছু লোক হামলা করে আমার উপর। আমি চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে চলে এসেছি, এরপর এলাকার লোকজন মাইকিং করে কিকরেছে আমি আর কিছুই জানিনা।মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ মুঠোফোনে জানান, নিহতের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অভিযান চলছে।