রাজধানীর মিরপুর ও ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের ১১ প্রতারক গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। পাশাপাশি ১৫ জন ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, রাজধানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কিছু ভুঁইফোড় কোম্পানি সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪-এর একটি আভিযানিক দল রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিম্নোক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ জন ভুক্তভোগীসহ সর্বমোট ১১ জন প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
প্রথম প্রতিষ্ঠানটি হলো – মিরপুর মডেল থানাধীন ‘আনন্দ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড’। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ৯ জন প্রতারককে গ্রেফতারসহ ১০০টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফরম, ২০০টি ভর্তি ফরম, ১২০টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ১৭৫টি জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ৪টি ডিজিটাল সিল, ১৫টি নিবন্ধিত বই এবং ৪৫০টি ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নরসিংদীর শামিমা বেগম (২৬), রাজবাড়ী রেশমা খাতুন (২০) ভোলার আকলিমা আক্তার আখি (১৮), লক্ষ্মীপুরের মো. রায়হান হোসেন (১৯), ভোলার তুষার রহমান (২৩), রাজশাহীর মো. শ্রাবন হোসেন (১৮), দিনাজপুরের মো. সাকিব ইসলাম (১৮), জামালপুরের মো. জাকির হোসেন (২২), বি. বাড়িয়ার মো. সোহেল মিয়া (২২)।
দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানটি হলো- ঢাকার আশুলিয়ার ‘ক্যাপটর সিকিউরিটি (প্রা.) লিমিটেড’। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ২ জন প্রতারককে গ্রেফতারসহ ২০০টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফরম, ২০টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ১০০টি জীবনবৃত্তান্ত ফরম, ৪টি ডিজিটাল সিল, ২টি রেজিস্টার খাতা এবং ২টি চাকরিতে যোগদানের অঙ্গীকারপত্র ফরমের বই জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. লিটন শিকদার (৩৬) ও মো. ওসমান গনি (৩৩) ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত চক্রটি রাজধানীসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে ভিন্ন ভিন্ন নামে বেনামে ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মধ্যশিক্ষিত বেকার ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল যুবক/যুবতীদের আকর্ষণীয় ও উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভনের মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
এ ছাড়াও তারা ট্রেনিং এর নামে টাকা নিয়ে এবং চাকরিপ্রার্থী অন্য সদস্য সংগ্রহ করে দিলে কমিশন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতারক সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতেও এসব অসাধু নব্য প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।সুত্র:সস