দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা না থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছেন আমদানিকারকরা। হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মুকুল হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম একই। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের চাইতে দেশীয় পেঁয়াজের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজ না কিনে দেশীয় পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকেছেন। এতে করে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে। যার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করি না। মানুষও ভারতীয় পেঁয়াজ চায় না।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আমাদের ৩৫/৩৭ টাকার মতো পড়তা হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ টাকা করে। এছাড়াও দেশীয় পেঁয়াজের চেয়ে ৮/১০ টাকা কম হওয়ায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে।
কিন্তু বর্তমানে দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ভারতীয় ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম সমানে সমান হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন চাহিদা নেই। এতে করে পেঁয়াজ আমদানিতে পড়তা না থাকায় ও লোকসানের কারণে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের কোনও আমদানি নেই। প্রথম কয়েকদিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে পেঁয়াজ আসে না।