হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে না পেয়ে শশুরবাড়িতে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন প্রভাত মিয়া নামে এক যুবক। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।প্রভাত মিয়া কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের সিরাজ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে প্রভাত মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুর গ্রামের আব্দুল মুকিত চৌধুরীর মেয়ে ফারজানা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ে পর তাদের পরিবারে দুটি মেয়ে সন্তান আসে। বর্তমানে বড় মেয়ে ইফতির বয়স ৮ বছর ও ছোট মেয়ের বয়স ১ বছর। বিয়ের পর থেকে সে কোনো কাজকর্ম করত না। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী ফারজানা রাগ করে দুই মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে স্ত্রী-সন্তানকে নিতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন প্রভাত। এখানে এসে তিনি জানতে পারেন স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় তার নানার বাসায় চলে গেছেন। এতে মারাত্মকভাবে মর্মাহত হয়ে রাতের কোনো এক সময়ে গলায় গামছা পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রভাত। সকালে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন শায়েস্তাগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব জানান, প্রভাত মিয়ার পরিবারের লোকজন জানিয়েছে সে কোন কাজকর্ম না করায় স্ত্রীকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। এ নিয়ে সংসারে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলত। এ ব্যাপারে প্রভাত মিয়ার ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..