মেয়েকে হত্যার অভিযোগে মামলা করার এক বছর পর হাইকোর্টে বাদী জানালো মামলাটি মিথ্যা। অন্যের পরামর্শে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি। বাদীর কথা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা। এক বছর জেল খাটা জামাইকে জামিন দিয়ে মিথ্যা মামলাকারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিথ্যা মামলাকারীকে জেলে পাঠানোরও নজির রয়েছে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দেশের উচ্চ আদালতে। মেয়েকে হত্যার অভিযোগে জামাই, বেয়াইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন এক বাবা। এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন মৃতের ৫ বছরের মেয়ে ফারিয়া। নিষ্পাপ এই শিশু সাক্ষ্যে বলেন, তার বাবা লাঠি দিয়ে প্রথমে তার মাকে মাথায় আঘাত করে এরপর ছাগল বাঁধার দড়ি গলায় বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এই শিশুর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়। শুরু হয় বিচার। এক বছর জেল খাটা আসামি জামিন চান উচ্চ আদালতে। অন্যদিকে মামলার বাদী লিখিত আকারে উচ্চ আদালতে জানায়, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এলাকাবাসীর প্ররোচনায় তিনি জামাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আসাদ মিয়া বলেন, ‘‘মেয়ের বাবা একটি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন যে, ‘আসলে আমি গ্রামের কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। জামাই আসলে হত্যা করেনি। আমার মেয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বাদির এমন আচরণের হতবাক বিচারপতিরা। আসামিকে জামিন দিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগে উল্টো বাদিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন । ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ বলেন, বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করা জন্য সংশ্লিষ্ট আদালত আদেশ দিয়েছেন। এখন মনে করি, এ ধরণের মিথ্যা মামলা জাতীয় স্বার্থে রোধ করা দরকার। আইনজীবীরা জানান, সাথীর মৃত্যুর ২ মাস ১৮ দিন পর মামলাটি করা হয়। শিশু ফারিয়াকে নানার শিখিয়ে দেয়া কথা সাক্ষ্যে বলে। তারপরও আসামির সঙ্গে কোন আঁতাত হয়েছে কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ তাদের।
এ জাতীয় আরো খবর..