গাজীপুরে মোবাইল নিতে প্রতিবেশী চার বছরের শিশুকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ নামে ১২ বছরের আরেক শিশুকে আটক করে পুলিশ। একমাত্র সন্তান হারিয়ে শোকে বিহ্বল মা। বিছানায় ছড়ানো-ছিটানো বর্ণমালা আর পড়ে থাকা খেলনাগুলো শুধুই এখন যেন স্মৃতি। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ বাবার দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ছিফাতকে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার দারগারচালা গ্রামের (ডলফিন বেকারির সামনে) নুরুজ্জামানের আকাশী বাগানের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
সোমবার দুপুরে মায়ের স্মার্ট ফোনসহ সিফাতকে নিয়ে খেলতে যায় প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ। সন্ধ্যা নেমে এলেও বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজির পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ আব্দুল্লাহকে সন্দেহভাজন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তার দেওয়া তথ্যে দারোগার চালা এলাকার একটি ঝোঁপ থেকে সিফাতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, স্মার্টফোনের জন্য ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার জানান, সোমবার দুপুরে পাশের রুমের আব্দুল্লাহর সঙ্গে খেলার জন্য বের হয় শিশু সিফাত আহম্মেদ। বিকেলে সিফাত বাসায় না ফিরলে তার বাবা-মা খোঁজ করতে থাকে। কোনো সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শ্রীপুর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে শিশুর বাবা আবু বকর সিদ্দিক। পরে পুলিশ আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়।
এ জাতীয় আরো খবর..