ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সুবিধা-অসুবিধা, বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত এবং তাদের জন্য গৃহীত কল্যাণমূলক কার্যক্রমের বিষয় অবহিত করতে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে আয়োজিত এ বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।
সভার কার্যক্রম শুরু হয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে। করোনাকালীন সময়ে ডিএমপিতে গৃহীত বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রমের চিত্র উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিটামিন ও জিংক জাতীয় ঔষধ সরবরাহ, ফোর্সের ডাইনিং ও ব্যারাক ব্যবস্থা উন্নতিকরণ, মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষক দ্বারা ইয়োগা অনুশীলনের ব্যবস্থা করা, নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক ছিটানোসহ গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, করোনা ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। মানুষের হাচি, কাশি বা শরীর থেকে বের হয়ে আমাদের নাক, মুখ ও চোখে ঢুকছে। চোখ, নাখ ও মুখ প্রোটেকশনের মাধ্যমে জীবানু ঢুকতে দিব না।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, জনবহুল এলাকায় ডিউটিতে থাকিলে বেশি সতর্কতা নেওয়া দরকার। জনবহুল স্থানে চলাচলের সময় কারো সাথে দেখা হলে, কোথাও গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। কোন কিছু স্পর্শ করলে হাত স্যানিটাইজ অথবা হাত ধুতে হবে। সামান্য স্বাস্থবিধি মেনে চললে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু বা অসুস্থতা থেকে বাঁচতে পারবে।
কমিশনার বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডিএমপিতে ২৪ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে দেশের সর্বোচ্চ ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফোর্সের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আইজিপি স্যারের উদ্যোগে বেসরকারি হাসপাতাল সম্পূর্ণ ভাড়া নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তোমাদের কল্যাণ দেখা-ই আমাদের কাজ।
মাদকের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা পুনরায় ব্যক্ত করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তোমরা নিজেরা নিজের বাহিনীর সম্মানের জন্য, তোমার লাইনের ভালোর জন্য চোখ কান খোলা রাখবে। কে মাদক সেবন করছে ও তোমার জুড়িদার ভাইকে নষ্ট করছে এটা লক্ষ্য রাখতে হবে। মাদক সেবন করে কেউ কোনদিন উন্নতি করতে পারেনি। তাই নিজেরা এ পথ থেকে দুরে থাকবে, অন্যকে দুরে রাখার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, চাকরি আছে বলে তোমার সম্মান আছে। কোন পুলিশ সদস্যের চাকরি চলে গেলে আমারও অনেক বেদনা হয়।
বিশেষ কল্যাণ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।