ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আবদুল কাইউমের গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক কাইউমের বড় ভাই ফয়সালকে (৩২) পিটিয়ে আহতসহ পরিবারের সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর পর অভিযুক্তদের সহযোগিতায় পুলিশ হামলার শিকার ভিকটিম ও মামলার বাদী আবু তালেবকে আটক করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই ব্যক্তিদের হাতে সাংবাদিক কাইউম ও তাকে উদ্ধারকারীরা হামলা শিকার হয়েছিলেন।
হামলার শিকার ফয়সাল জানান, চলতি বছরের ২ এপ্রিল তার ছোট ভাই ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি আবদুল কাইউম এবং স্থানীয় সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা হামলার শিকার হন। ওই হামলার ঘটনায় হওয়া মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত হানিফ, ফারুক, মজিবর, মাহাবুব নাজমুল ও সিদ্দিক গং ফয়সাল ও মামলার বাদী আবু তালেবের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ভিকটিমের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মাকেও তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। হামলার পর মামলার বাদী আবু তালেবকে তুলে নিয়ে যায় তারা। সাংবাদিক কাইউম বিষয়টি গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিছুক্ষণ পর উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদ ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য কাইউমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। কাইউম পুলিশকে বিস্তারিত জানান। এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বলেন, ‘আপনারা হামলা ও ভাঙচুরের নাটক সাজিয়েছেন।’ ঘটনাটি সাজানো, এমন কথা বলে কাইউমের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন এসআই শহিদ। মোবাইল রেকর্ডে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ওই রাতে এসআই শহিদ ও মনির একসঙ্গে ওই এলাকায় আসেন এবং হামলাকারীরা আবু তালেবকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আবু তালেবকে আটকের বিষয়ে পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
সাংবাদিক কাইয়ুমের বৃদ্ধ বাবা প্রাক্তন শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে মারধর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো তাদের শাসিয়ে গেছে। এর আগে একই ব্যক্তিরা তার ছোট ছেলে কাইউমকে ব্যাপক মারধর করেছে। কিন্তু থানায় মামলা নেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, গলাচিপা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।