বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামে একটি খামারে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ১০টি গরু মারা গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে খামার মালিক থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এক এক করে ১০টি গরুর মৃত্যু হয় বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনার পর খামারের কর্মচারী মানিক মিয়া আত্মগোপন করেছেন।
খামারের মালিক ইয়াকুব হোসেন অপু জানান, তার খামারে অস্ট্রেলিয়ান ১৬টি গরু ছিল। সোমবার বিকেলে খামারের কর্মচারী মানিক মিয়া গরুর সামনে খাবার দেয়ার কিছুক্ষণ পরে একটি গরু ছটফট করে মারা যায়। এভাবে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এক এক করে ১০টি গরু মারা যায়।লক্ষণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, শত্রুতার জেরে খাবারে বিষ দিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই খাবার খেয়েই গরুগুলো মারা গেছে। সন্ধ্যায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জনকে খবর দিয়ে খামারে আনা হয়েছিল। তিনি দেখে গেছেন।
ইয়াকুব হোসেন অপু বলেন, ধার-দেনা করে গুরুগুলো কিনেছিলেন। গরুগুলো মারা যাওয়ার কারণে আমার ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার পর কর্মচারী মানিক মিয়াকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, মৃত গরুগুলোর ময়নাতদন্ত এবং ঘাস ও মলমূত্র পরীক্ষা ছাড়া ঠিক কী কারণে মারা গেছে তা বলা মুশকিল। কিছু ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক কারণেই ঘাসে বিষক্রিয়া হতে পারে। তা ছাড়া ঘাসে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োগেও এমনটি হয়ে থাকে। ঘাসে সার দেয়ার পরপরই গরুকে তা খাওয়ালেও এ বিষক্রিয়া হয়। জিডিতে খামারের কর্মচারী মানিক মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করা হয়।