বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসট্যান্ডে ড্রামের ভেতর থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে যাত্রীবাহী একটি বাসের ভেতর থাকা ড্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ধারণা, হত্যা করে মরদেহটি গুম করার জন্য একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধরা পড়ার ভয়ে পরে ড্রামের সঙ্গে থাকা ব্যক্তি পালিয়ে যান।বরিশাল-ভুরঘাটা রুটের ‘পিএস ক্লাসিক’ নামে যাত্রীবাহী বাস থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বাসের চালক জয়দেব জানান, বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গৌরনদীর ভুরঘাটার উদ্দেশে বাসটি ছাড়া হয়। সাড়ে ৬টার দিকে পথিমধ্যে কাশিপুরের গড়িয়ারপাড় থেকে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি ড্রামটি নিয়ে বাসে ওঠেন। তার পরনে পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি ছিল। ড্রামে কাচের জিনিস রয়েছে বলে সুপারভাইজার ও হেলপারকে ওই যাত্রী জানিয়েছিলেন। রাত ৯টার দিকে বাসটি ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ড্রামের মালিক ভ্যান আনার কথা বলে নেমে যান। এরপর দেড় ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ড্রামের মালিক ভ্যান নিয়ে ফিরে না আসায় বাস স্টাফ ও স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর ড্রামের মুখ খুললে ভেতরে বোরকা পরা এক নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, ‘পিএস ক্লাসিক’ নামে যাত্রীবাহী বাস (বরিশাল-জ-১১-০১০৪) থেকে প্লাস্টিকের ড্রামটি উদ্ধার করা হয়। ড্রামের ভেতর আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। ওই নারীর পরনে সেলোয়ার কামিজের ওপর বোরকা ছিল। নিহত নারীর মাথার পেছন দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, ১২-১৪ ঘণ্টা আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর নারীকে ড্রামে ভরে মৃতদেহ গুম কারার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।