নওগাঁর বদলগাছীতে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। বুধবার (১১ নভেম্বর) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় রেললাইনের ধারে একটি ডোবায় শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।নিহত শিক্ষার্থীর নাম নাজমুল হোসেন। নাজমুল নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের আল আমীনের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়া হয়। পরে গভীর রাত পর্যন্ত ছেলের জন্য অপেক্ষা করলেও সে আর ফিরে আসেনি। এরপর নাজমুলের মোবাইল থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় সন্তানকে ফিরে পেতে মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে বুধবার সকালে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে একটি সাধারণ ডায়েরি করে আল আমীন। এরপর ওই রাতে অভিযান চালিয়ে আক্কেলপুরের তিলকপুরে মামার বাড়িতে পালিয়ে থাকা খাদাইল গ্রামের মিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরিটি রোববার মামলা হিসেবে গ্রহণে করে পুলিশ।
নিহত নাজমুলের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ ছিল না। অথচ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
নাজমুলের বাবা আল আমীন হোসেন বলেন, ফোন পেয়েই আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে ছেলের ফোন থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। এরপরই পাঁচ দিন পর ছেলের মরদেহ পেলাম। আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।’এ ব্যাপারে নওগাঁর মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম বলেন, শুক্রবার নাজমুলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেওয়ার পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। এরপর তার বাবার করা সাধারণ ডায়েরি ও মামলা সূত্র ধরে ইতোমধ্যেই চার আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়ও জানায় পুলিশ কর্মকর্তা।
এ জাতীয় আরো খবর..