হত্যাকান্ডের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। একই সময়ে হত্যার শিকার অজ্ঞাত নারীর পরিচয়ও শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় চলতি মাসের ৭ নভেম্বর রবিবার লাশ উদ্ধারের পর নিহত শাহিনা বেগমের ভাই একরামুল হক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লালমনিরহাট সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি তিস্তা নদী এলাকার ফাঁকা জায়গা থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রথমে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, নিহতের নাম শাহিনা বেগম (৪০)। তিনি জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মৃত তৈয়ব আলীর স্ত্রী । এই নারীর সঙ্গে লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাঁকোয়াবাজার এলাকার দবিয়ার হোসেনের (৪২) বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের জেরে ওই নারী বিয়ের চাপ দিলে দবিয়ার হোসেন অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে দবিয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগম (৩৩) ভেলাগুড়ির শাহিনা বেগমকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
এসআই মশিউর বলেন, গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দবিয়ার হোসেন শাহিনা বেগমকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নেয়। এরপর তাকে আদিতমারী সাপ্টিবাড়ী বাজার হয়ে খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি তিস্তা নদী এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে রাত আট থেকে নয়টার মধ্যে যে কোনও এক সময় শাহিনার গলায় রশি ও ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে লাশ ফেলে চলে যায়। হত্যায় দবিয়ারের সহযোগী ছিল তার স্ত্রী শাহিনা বেগম।
তিনি বলেন,‘ আমরা ডিজিটাল ডিভাইস ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কললিস্ট ধরে আসামি দাবিয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগমকে (৮ নভেম্বর) রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছি। সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকালে তাদের লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত -১ এ সোপর্দ করলে তারা বিচারক আফাজ উদ্দিনের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ।