আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। চলতি একাদশ সংসদের দশম এই অধিবেশন সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে।সোমবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারও মহামারি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই অধিবেশনের কার্যক্রম চলবে।
সংসদ সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী প্রথম দিনের কর্মসূচিতে প্রথমে সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন শোক প্রস্তাব গ্রহণ, প্রশ্নোত্তর ও ৭১ বিধির জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ নিষ্পত্তি হবে। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২০ উপস্থাপন হবে। এছাড়া এদিন তথ্য কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন ও দুটি বিল উত্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড-২০২০ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল ২০২০ উত্থাপন হবে।
৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা পাস হবে। সাধারণ প্রস্তাবের ওপর টানা চারদিন শেষে বৃহস্পতিবার এটি গ্রহণ করা হবে। এরপর আগামী সপ্তাহে দুই বা তিন দিন সাধারণ বৈঠক চলার মাধ্যমে অধিবেশনটি শেষ হবে।
আরও জানা গেছে, বিশেষ অধিবেশনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন অর্থাৎ ৯ নভেম্বর কোভিড-১৯ নেগেটিভ সকল সংসদ সদস্যই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এরপর থেকে আগের মতো করে সংসদ সদস্যরা রোস্টারভিত্তিক বৈঠকে যোগ দেবেন।
এর আগে গত ২২ ও ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।