হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ভাগনের সঙ্গে ঝগড়াই কাল হয়েছে শিশু আমির হামজার। ঝগড়ার জের ধরে তাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছেন চাচাতো ভাই-বোন।হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাই জুনাইদ আহমদ (২০) ও চাচাতো বোন রোজিনা বেগম (২৫)। আদালতে তারা হত্যাকাণ্ডের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি বলেন, উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আমির হামজার (৩) সঙ্গে প্রায়ই চাচাতো বোন রোজিনা বেগমের দুই বছরের মেয়ের ঝগড়া হতো।বিষয়টি সহ্য করতে পারেননি রোজিনা। এতে ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে ভাই জুনাইদ আহমদকে নিয়ে শিশু চাচাতো ভাই আমির হামজাকে হত্যার পরকল্পনা করেন।
২ নভেম্বর বিকেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী আমির হামজাকে ডেকে নিয়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে নিজের ঘরে খাটের নিচে ফেলে রাখা হয়।এদিকে, আমির হামজার মা-বাবা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কেউ যাতে সন্দেহ না করে তাই জুনাইদও খোঁজাখুঁজিতে অংশ নেন। রাতে রোজিনা খাটের নিচ থেকে আমির হামজার বস্তাবন্দি মরদেহ বের করে বাড়ির সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজে ফেলে রাখেন।রাতেই খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে জুনাইদকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে রোজিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।