কুমিল্লা মহানগরীর হযরতপাড়ায় টাপেন্ডা ট্যাবলেট আসক্ত হৃদয় নামের আরোও এক যুবক আত্মহত্যা করে। এর আগে ৩০ অক্টোবর হৃদয় নামের এক যুবকের আত্নহত্যার একদিন পর তারই বন্ধু হৃদয় ২ আত্নহত্যা করেছে। যে রুমে হৃদয় আত্মহত্যা করে তার দরজা খোলা থাকায় পুলিশ বলছে তাকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মনে হলেও লাশের পোস্টমর্টেম রির্পোট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, এলাকায় একটি গ্রুফে দশ থেকে বারজন সদস্য রয়েছে তারা সকলে টাফেন্ডা ট্যাবলেট আসক্ত । এরাই এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে আসছে ।আত্মহত্যাকারী দুই হৃদয় , রাজন, রাকিব, শাওন, আরিফ, আরিফ ২, আকাশসহ আরো কয়েকজন সদস্য রয়েছে যারা প্রত্যেকে টাফেন্ডা টেবলেট আসক্ত। সোহাগ মিয়ার ছেলে হৃদয় ও তার পরিবার হযরতপাড়া জহির উদ্দিন এর বাড়িতে ভাড়া থাকার কথা জানা যায়। আত্মহত্যাকারী দুই হৃদয় বন্ধু ছিল এবং পাশাপাশি বাড়ীতে ভাড়া থাকে। টাফেন্ডা ট্যাবলেট খেয়ে দুজনে তাদের পুরো শরীরে ব্লেড দিয়ে রক্তাক্ত করার ছবিও পাওয়া যায়। এছাড়া শাওন, কালা আরিফ, রাজন, রাকিব সবার হাতে ও বুকে অসংখ ব্লেড এর কাটা চিহ্ন রয়েছে।এ বছরের ২৯ অক্টোবর এলাকার কাদের মিয়ার বাড়ির সামনে আরিফ ও শাওন তাদের সহযোগিদের নিয়ে শো:চিৎকার ও মাতলামি করতে দেখে বাড়ির মালিক তাদেরকে চিৎকার করতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন, আরিফ ও তার গ্রুফের সদস্যরা মিলে দা ছেনি দি বাড়ির মালিকের বাড়ির গেইট ও দরজায় হামলা চালায়, এ সময় প্রতিবেশী ব্যক্তি পুলিশকে খবর দিলে কোতয়ালী মডেল থানাধীন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুমন ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসি কুমিল্লা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আর্কষন করে বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে যেসব ঔষুধ ফার্মেসী রয়েছে সেগুলোতে অভিযান চালিয়ে টাপেন্ডা ট্যাবলেট বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানান।