ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন চলাকালে এক কর্মীকে আটক করায় কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের এমপির বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) একটি কেন্দ্র থেকে ভাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমীন ওই কর্মীকে আটক করেন। ঘটনার জেরে কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা পপিকে ফোন করে আল আমীনের বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন এমপি নিক্সন চৌধুরী। তাদের কথোপকথনটি পরে সামাজিকমাধ্যম ভাইরাল হয়।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা পপি সময় নিউজকে জানান, গত বছর ২৩ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসার মৃত্যুর কারণে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। শনিবার (১০ অক্টোবর) সেই উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়।
জানা গেছে, গাজীরটেক ইউনিয়নের চর অযোধ্যা এলাকার একটি কেন্দ্রে কর্মী আটকের ওই ঘটনা ঘটে।
জেসমিন সুলতানা পপি বলেন, আমি কন্ট্রোল রুমে ছিলাম। আমি রিটার্নিং অফিসার না। পাশের উপজেলার এসিল্যান্ড নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছিলেন। এমপি সাহেব ফোন করার পর আমি এসিল্যান্ডকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। তিনি জানান, জাল ভোট দেওয়ার পায়তারা করছিলেন ওই ব্যক্তি। তাকে বেআইনি কাজ না করার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো কথা না শুনে বেয়াদবি করেন এবং বুথের সামনে দাঁড়িয়েই সিগারেট খান। ফলে নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার জন্য তাকে গাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়।
নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার্থে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এই কাজ করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন জেসমিন সুলতানা।
এদিকে ফোনালাপটি নিজের নয় বলে দাবি করেছেন এমপি নিক্সন চৌধুরী। সময় নিউজকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, এগুলো সব বানানো। আমার ভয়েস না। এগুলো সরকার আর প্রশাসনের মধ্যে একটা গণ্ডগোল লাগানোর বুদ্ধি।
তিনি বলেন, শেখ আরাফাত নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত এক বছর ধরে এসব বানিয়ে আমার নামে ছড়ানো হচ্ছে। শেখ আরাফাত কাজী জাফরুল্লাহর লোক বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করব। সুত্র: সময় নিউজ