1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বন্দী‌পের মা‌নু‌ষের কাছ থে‌কে আজ কলঙ্ক মুক্ত হলাম: প্রধান উপদেষ্টা গাউসছে পাক জামে মসজিদের ইফতার মাহফিল ক‌লেজ শিক্ষার্থী‌কে ধর্ষণ‌ চেষ্টার মামলায় ছাত্রদল আহ্বায়ক বহিষ্কার জামালপু‌রে চুরির অপবাদে রাজমিস্ত্রিকে নির্যাত‌নের ভি‌ডিও ভাইরাল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় ক‌রেও ১৭ শ্রেণীর মানুষ জান্না‌তে যে‌তে পার‌বে না রাজধানীর গুলশা‌নে মাথায় পিস্তল ঠেকি‌য়ে গু‌লি তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের কল্যাণে ৫ নির্দেশনা দি‌লেন প্রধান উপদেষ্টা ছু‌টি বাড়া‌নোর দাবী‌তে মহাসড়ক অবরোধ প্রধান উপ‌দেষ্টার সা‌থে সেনা প্রধা‌নের সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁদাবাজ-দখলবাজ‌দের আটক ক‌রে পুলিশে দিন: হাসনাত আবদুল্লাহ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে : দুদক

নাগরিক খবর অনলাইন ডেক্স
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬২ বার পঠিত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও মহানগর ডিবির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১৮ আগস্ট) কমিশনের এক বৈঠকে কয়েকজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য নিশ্চিত করে।

দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের পরই রবিবার (১৮ আগস্ট) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুলাই মাসে। নানান কারণে সেই তথ্য প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিকভাবে দুদক অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। রবিবার (১৮ আগস্ট) কমিশনের এক বৈঠকে হারুনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদক সূত্র জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিষয়ে দুদক জানতে পারে যে তিনি ২০তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে ২০০০ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তিনি চাকরি পেয়েছেন—যা প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সময় নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে।

এছাড়া তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন এলাকায় নিরীহ লোকজনের জমি নামমাত্র মূল্যে জোর করে কিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা খরচ করে ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ নামে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট তৈরি করেছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরের উত্তর ভগ্নাহাতি এলাকায়ও সবুজপাতা নামে একটি রিসোর্ট তৈরি করেছেন মর্মে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়।

এছাড়া, তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকার উত্তরায় সেক্টর ৩ ও ৫-এ একাধিক বাণিজ্যিক প্লট ও বহুতল ভবন রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে সাড়ে সাত কাঠার এক নম্বর বাণিজ্যিক প্লটটি তার। একই সেক্টরে সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর ১৪ তলা আরেকটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। তিন নম্বর সেক্টরের তিন নম্বর রোডে ‘এন্ডোরা’ নামে একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে হারুনের। ১০ নম্বর সেক্টরে একটি পাঁচ কাঠার খালি প্লট রয়েছে তার।

রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সিসহ নামে-বেনামে নিয়মবহির্ভূত বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গেও তিনি জড়িত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা যায়, হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠলেও তার প্রভাবের কারণে কেউ কিছু বলতে পারেননি। তার নামে-বেনামে ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন দুদক কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com