আগামী মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের লক্ষে আমি ময়মনসিংহ নগরীর সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে যাচ্ছি, তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া ও সমর্থন পাচ্ছি।
আশা করছি নগরবাসীর সাথে আমার দীর্ঘদিনের যে আন্তরিক সম্পর্ক সেই সম্পর্কের সুবাদে আগামী ৯ই মার্চ তারা টেবিল ঘড়ি প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আবারোও আমাকে নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ দান করবেন। এছাড়া আমার অবস্থান থেকে আমি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব, নগরবাসীর জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে আমার অবস্থান থেকে যা করা প্রয়োজন সেটি ইনশাল্লাহ অব্যাহত রাখবো।
ইশতেহার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিভাবে আরো প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এবং কিভাবে এগুলো ব্যবহার করে নাগরিক সেবাগুলো সহজভাবে পাওয়া যায় সে বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনাগুলো রয়েছে, মেয়র থাকাকালীন সময়ে সে বিষয়ে আমি কাজও শুরু করেছিলাম, সেগুলো চলমান আছে।
যদি আল্লাহ পাক আমাকে আগামী দিনে সেই সুযোগ দান করেন অবশ্যই আমার প্রথম এজেন্ডা বা আলোচ্য সূচী থাকবে স্মার্ট সিটি গঠনে আমাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র প্রার্থী টিটু বলেন, যেহেতু এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাইরেও সাধারণ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ রয়েছেন, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সকল ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন , সবদিক মিলিয়ে এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আরো অনেক বেশি বাড়বে। এটি আমার কয়েকদিনের গণসংযোগ বা জনগণের সঙ্গে যতটুকু কথা বলে বুঝেছি, ইনশাল্লাহ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
শনিবার ৯ম দিনের মতো সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতিকে মোঃ ইকরামুল হক টিটু ভোট চেয়ে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও নগরীর ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডসহ অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশা মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সাথে ঘড়ি প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় করেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ প্রমুখ।