নারায়নগঞ্জের একটি মাদ্রাসায়, ১১বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে শিক্ষক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলৎকার করার অভিযোগ পাওয়া যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম শহিদুল্লাহ (৪৫)। তিনি চাঁদপুর জেলার উত্তর ইচলী এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বব্দুশীর ছেলে এবং সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত মারকাযুল কোরআন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক।
বলাৎকারের শিকার শিশু ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ অক্টোবর রাতে মারকাযুল কোরআন কওমি মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে শিক্ষক শহিদুল্লাহকে পুলিশ গ্রেফতার করে।এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির ফুফু।
বলাৎকারের শিকার ১১ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার জানায়, গত ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই শিক্ষক শহিদুল্লাহ ছাত্রটিকে বলাৎকার করে আসছে। ব্যথা কমাতে ছাত্রটিকে ব্যথানাশক ওষুধও সেবন করাতেন ওই শিক্ষক। ছাত্রটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতো। শেষবার শিশুটি বলাৎকারের শিকার হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময়। পরে সুযোগ পেয়ে ওই শিশু ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলাৎকারের অভিযোগ স্বীকারও করেছেন।
ওসি আরও জানান, আমরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে সোমবার আদালতে পাঠিয়েছিলাম। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আদালতে ওই ছাত্রের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে।