সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ মামলার ৩নং আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রনি (২৮) ও ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলায় মোট চারজন গ্রেফতার হলো। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মামলার ৫নং আসামি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী।রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল গ্রামে। রবিউল ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার আহ্বায়ক।
এর আগে, রোববার সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।
মামলার দুই নাম্বার আসামি তারেক আহমেদ ও ৬ নাম্বার আসাসি মাহফুজুর রহমান মাসুম পলাতক রয়েছে । এই দুই আসামিকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানান সিলেট পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এই ছয়জন হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।
এ জাতীয় আরো খবর..