1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘাতক গ্রেফতার ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন কু‌মিল্লা সদর দ‌ক্ষিণে স্কুল ফেরার প‌থে শিশু‌কে ধর্ষণের পর হত্যা ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন

নির্বাচন করার অ‌যোগ্য হ‌লেন জোবাইদা রহমান

নাগরিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তারেক রহমানকে তিন কোটি টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং জোবাইদা রহমানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তারেকের ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকাল ৪টা ২ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এই রায় দেন।

এই রায়ের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করার জন্য অযোগ্য হয়েছেন। দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এবার তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এ রায়ের কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পর ডা. জোবায়দা রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হলো।

সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

এ ক্ষেত্রে ডা. জোবাইদা রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। আপিলে দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হলে তবেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ পাঁচ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তারা দুজনও অযোগ্য হয়েছেন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেউ যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে জোবাইদা রহমান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, অর্থাৎ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ নেই তার।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, হলে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে কারাগারে গিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। আপিলে দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হলে তবেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া সম্ভব না।’

বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশে যদি নির্বাচনের পরিবেশ থাকে এবং তারা যদি দেশে ফিরতে পারেন, তাহলে আপিলের মাধ্যমে সাজা স্থগিত করে নির্বাচন করা সম্ভব।’

আপিল করলে সাজা স্থগিত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তাহলে আমরা আশা করি, আপিল করলে এ রায় স্থগিত হবে।’

এ বিষয়ে ঢাকা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে আছে দুই বছরের বেশি কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে জোবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজা হয়েছে। তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হয়েছেন। নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।’

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করে মামলা করে দুদক। ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে এ মামলা করে দুদক।

পরে ২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা রহমান। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।

এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুর মৃত্যু হলে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তাদের পলাতক দেখানো হয়। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২১ মে আদালতে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম শেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই দুদকের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায় দেন।

এই রায়ের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করার জন্য অযোগ্য হয়েছেন। দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এবার তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এ রায়ের কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পর ডা. জোবায়দা রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হলো।

সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

এ ক্ষেত্রে ডা. জোবাইদা রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। আপিলে দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হলে তবেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ পাঁচ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তারা দুজনও অযোগ্য হয়েছেন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেউ যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে জোবাইদা রহমান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, অর্থাৎ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ নেই তার।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, হলে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে কারাগারে গিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। আপিলে দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হলে তবেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া সম্ভব না।’

বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশে যদি নির্বাচনের পরিবেশ থাকে এবং তারা যদি দেশে ফিরতে পারেন, তাহলে আপিলের মাধ্যমে সাজা স্থগিত করে নির্বাচন করা সম্ভব।’

আপিল করলে সাজা স্থগিত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তাহলে আমরা আশা করি, আপিল করলে এ রায় স্থগিত হবে।’

এ বিষয়ে ঢাকা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে আছে দুই বছরের বেশি কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে জোবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজা হয়েছে। তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হয়েছেন। নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।’

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করে মামলা করে দুদক। ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে এ মামলা করে দুদক।

পরে ২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা রহমান। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।

এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুর মৃত্যু হলে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তাদের পলাতক দেখানো হয়। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২১ মে আদালতে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম শেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই দুদকের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায় দেন।

রায়কে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত আদালত প্রাঙ্গণ

এই মামলাল রায়কে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত ছিল পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ। দিনভর পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেন আওয়ামীপন্থি ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রায় ঘোষণার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত প্রাঙ্গণ। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পাশাপাশি এ রায়ের প্রতিবাদে জুতা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

অপরদিকে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এদিন সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আশপাশের এলাকা ভিক্টোরিয়া পার্ক, রায়সাহেব বাজার পর্যন্ত তাদের এ সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে তল্লাশি করা হয়। এজলাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে কাউকেই মোবাইল ফোন নিয়ে ভেতরে যেতে দেয়নি পুলিশ।

রায়ের বিষয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বলেন, ‘এটা একটা ফরমায়েশি রায়। শেখ হাসিনা প্রদত্ত ফরমায়েশি রায় এটি। মিথ্যা, ভিত্তিহীন একটা মামলা দায়ের করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই মূলত এ রায় দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের অনুপস্থিতিতে আমরা এই মামলাটির ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনকে হাজির করতে পেরেছি। আজকে আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যবেক্ষণ ও প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্কের আলোকে রায় ঘোষণা করেছেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এই রায়কে ফরমায়েশি রায় বলে অভিযোগ করার বিষয়ে কাজল বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা এই মামলার বিচারের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এই মামলা হওয়ার পর থেকে তারা (বিএনপিপন্থি আইনজীবী) একই ভাঙা ক্যাসেট বাজাচ্ছেন। এখানে ফরমায়েশির কোনও কিছু নেই। তাকে (তারেক রহমান) তো উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। তিনি উপস্থিত হননি কেন? তিনি উপস্থিত না হয়ে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবেন, আর বলবেন ফরমায়েশি রায়।’

আরও যেসব মামলায় সাজা হয়েছে তারেক রহমানের
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় ২০১৩ সালে প্রথম রায় হয় এবং এ মামলায় তিনি খালাস পান। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের পর হাইকোর্টের রায়ে সাত বছরের দণ্ডাদেশ হয়। তার পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর ও তারেকের ১০ বছর সাজা হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলার প্রতিটিতে কয়েকটি ধারায় তাকে তিন বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার ২০ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়। তবে সব সাজা একসঙ্গে কার্যকরের উল্লেখ থাকায় তারেককে যাবজ্জীবন সাজা খাটার বিষয়টি রায়ে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পাড়ি জমান। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com