অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হাসনা বানুর চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রংপুরের স্পেশাল জজ হায়দার আলী এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা ছবি নেওয়ার সময় ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন আসামি। পুলিশ তাকে নিবৃত করে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, হাসনা বানু লিপি পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকরিকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে দুদক আইনে মামলা করে।
মামলার বাদী ছিলেন দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাকারিয়া। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। মামলায় সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আত্মসাৎ করা ৪৩ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।
দুদক আইনজীবী হারুনুর রশীদ জানান, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামানিক জানান, তারা ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।