বেসরকারি খাত ও বৈশ্বিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারীত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি প্রতিষ্ঠান ও নীতিমালায় উন্নত তথ্য ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির জন্য ৮৫৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষির বিকাশ, খাদ্য নিরাপত্তা ও সড়ক নিরাপত্তায় অর্থায়নের দুটি চুক্তিতে সই করেছে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অঙ্গসংস্থা– ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর মেয়াদি এসব ঋণ দেবে।
এরমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের কৃষিখাতের ঋণ কর্মসূচিটি হলো– প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (সংক্ষেপে- পার্টনার)। এটি বহুমুখী ফসলের চাষাবাদ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু প্রতিকূলতা সহনশীল খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থাকে সমর্থন করবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ মোকাবিলায় সক্ষম ফসলের জাতের চাষাবাদ বিস্তার; সর্বোত্তম কৃষি পদ্ধতি অনুসারে, কৃষি উপকরণের যথাযথ ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং টেকসইভাবে পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা দেবে এই ঋণ কর্মসূচি।
এর আওতায়, কৃষিখাতে উদ্যোক্তা বৃদ্ধিতে সহায়তা থাকবে। একইসঙ্গে, কৃষক পর্যায়ে ডিজিটাল কৃষি সেবা ও উপকরণের বিস্তার, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতি এবং তরুণ ও নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলায় সহায়তা থাকবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে অসাধারণ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ দরকার। এসব প্রতিকূলতা কাটিতে উঠে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বব্যাংক।
তিনি বলেন, এই দুটি (ঋণ) কর্মসূচি জলবায়ু-অদম্য কৃষি উৎপাদন ও হাজার হাজার কৃষকের আয় বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে টেকসই বিকাশের পথে রাখতে এবং সড়ক দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু, জখম বা অঙ্গহানি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এদিকে সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই দাতা সংস্থাটির প্রথম সুর্নির্দিষ্ট সড়ক নিরাপত্তায় সহায়তা প্রকল্প। এর আওতায় জেলা সড়ক থেকে শুরু করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত মহাসড়কে হতাহতের ঘটনা কমানোর উদ্যোগ থাকবে। এর আওতায় দুটি জাতীয় মহাসড়ক – এন৪ (গাজীপুর – এলেঙ্গা) এবং এন৬ (নাটোর – নবাবগঞ্জ) – এর প্রকৌশল নকশা উন্নয়ন, বিভিন্ন সাইন ও মার্কিং স্থাপন, গতিসীমা নিশ্চিতকরণ ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবাসহ সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। বিট্রি