পবিত্র ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। প্রথম দিনে ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। আর সর্বশেষ ১৮ জুনে দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট। ঈদের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ২২ জুন থেকে। সেদিন কাটা যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। ২৬ জুন পর্যন্ত কাটতে পারবে ফিরতি টিকিট। সেদিন দেওয়া হবে ৬ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট। গত ঈদের মতো এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। তবে ঈদযাত্রার বিক্রিত টিকেট এবার ফেরত দেওয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার দুুপুরে রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ১৪ জুন থেকে পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুনে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ জুনের টিকিট।
একইভাবে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ জুন থেকে। ওইদিন পাওয়া যাবে ২ জুলাই এর টিকিট। পর্যায়ক্রমে ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ জুন পাওয়া যাবে ৩, ৪, ৫, ৬ জুলাই এর টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলের সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে ও পূর্বাঞ্চলে দুপুর ১২ টা বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় ঈদের বিশেষ ট্রেন চলবে ৮টি। এসব ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ঢাকা থেকে বর্হিগামী আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ২৯ হাজার আসন হবে। ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।
পবিত্র ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। প্রথম দিনে ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে
২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে বলেও জানা তিনি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে।