টাঙ্গাইল সদরে মাছ ব্যবসায়ী আলী আকবর বাপ্পীকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে হত্যায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত মাছ দোকানের ভাগ চেয়ে না পেয়ে বাপ্পীকে হত্যা করেছেন তিন পার্টনার।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া। গত ২৩ মে রাতে সদর উপজেলার দিঘুলিয়ায় বাপ্পীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বাপ্পী দিঘুলিয়া এলাকার মৃত দেলোয়ার বেপারির ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—দিঘুলিয়ার নুরু মিয়ার ছেলে রাজু আহম্মেদ হাবলু (৩০), একই এলাকার ঝন্টু বেপারির ছেলে খোকন (৩১) ও মৃত শহীদ বেপারির ছেলে ওলি (৩০)।
এর মধ্যে ওলি ও খোকনকে শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালতের বিচারক মেস্কে জান্নাত রীপার কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ওলি ও খোকন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর হাবলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা মামলা করেছেন জানিয়ে ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘মামলার পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।’
ওসি আরও বলেন, ‘জবানবন্দিতে তারা আদালতে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাপ্পীর সঙ্গে যৌথভাবে মাছের ব্যবসা করে আসছিলেন তারা। মাছের দুটি দোকান রয়েছে বাপ্পীর। ওই দুই দোকানের ভাগ চান তিন পার্টনার। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে বাপ্পীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী আড্ডা দেওয়ার কথা বলে বাপ্পীকে দিঘুলিয়া সেতুর কাছে নিয়ে যান খোকন এবং ওলি উল্লেখ করে ওসি বলেন, ‘গভীর রাতে খোকন প্রথমে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করেন। বাপ্পী জীবন বাঁচাতে দিঘুলিয়ার শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গেলে পুনরায় হামলা চালান। সেখানে তিন জনে মিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।’
আবু ছালাম মিয়া আরও বলেন, ‘এটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড হওয়ায় রহস্য উদ্ঘাটনে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয় পুলিশ। এরপর হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।