কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডকে ঘিরে একটি ডিজিটাল প্রতারক চক্র এবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বৃত্তি প্রদান সহ নানা প্রলোভন দেখিতে বিকাশে অর্থ দাবি করে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের নিকট প্রতারণা চেষ্টা চালানো অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে বিচলিত না হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা শিক্ষাবোডের্র পক্ষ থেকে সতর্কতা মূলক নোটিশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করা হয়েছে। অবহিত করা হয়েছে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে গতকাল সোমবার বিকালে এ সাধারন ডাইরী করেন। এছাড়া কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.আবদুস ছালামের আদেশক্রমে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত একটি সতর্ক বিজ্ঞপ্তিটি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট সহ বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল করা হয়েছে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়,বোর্ড কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন জেলার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিকট ফোন করে এসএসসি ও এইচএসসি বৃত্তি সহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশে অর্থ দাবি করা হয়। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলি হচ্ছে: ০১৭৫৩-৫৩৬০৭১,০১৭৪২-৯৬২৩২৩। এসব মোবাইল নম্বর থেকে মেসেস পাঠিয়ে বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশে টাকা চাওয়া হয়। বিষয়টি কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে বোর্ড গতকাল সোমবার সাধারন ডাইরী ও সতর্কবার্তা জারি করেন।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.আবদুস ছালাম বলেন, শিক্ষাবোর্ড কোন ধরনের বৃত্তির টাকা প্রদান করে না,শুধু বৃত্তির গ্রেজেড প্রদান করে। প্রতারক চক্রটি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এ হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আইন-শৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করেছি। আমরা আশা করছি আইন-শৃংখলা বাহিনী অচিরেই তাদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য,গত বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের আগেও একটি প্রতারক চক্র মোবাইল ফোনের পাশাপাশি শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তাদের নামে পেক ফেসবুক আইডি খুলে এবং মোবাইলে ম্যাসেস পাঠিয়ে ও কল করে ফল পরিবর্তনের নামে টাকা দাবি করে এ ধরনের প্রতারনার চেষ্টা চালিয়েছিল। বোর্ডের সতর্কাবস্থানের কারনে তারা সফল হতে পারেনি।