যশোর-খুলনা পানি নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্পের দুর্নীতির মামলায় খলিলুর রহমান নামে একজনকে বিভিন্ন ধারায় ২২ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ ৭৩ হাজার ৮২৪ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকালে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
স্পেশাল জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খলিলুর রহমান যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কপালিয়া গ্রামের মৃত এরশাদ আলী শিকদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০০০-২০০১ অর্থবছরে মণিরামপুরের হরি ও শ্রী নদ খননে যশোর-খুলনা পানি নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নেয়। ওই প্রকল্পে মাটি খননের জন্য ৮০ জন শ্রমিক নিয়ে ‘লেবার কন্ট্রাকটিং সোসাইটি’ নামে দল গঠন করেন খলিল। তিনি দলনেতা হিসেবে ২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল ঠিকাদারি রেজিস্ট্রেশন জমা দেন। এরপর খননকাজ চলাকালে বিভিন্ন সময় শ্রমিকদের মজুরি হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি ওই অর্থ থেকে মজুরি পরিশোধ না করে এক লাখ ৭৩ হাজার ৮২৪ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠলে যশোর দুর্নীতি দমন ব্যুরো প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক যশোরের উপ-সহকারী পরিচালক এসএম বোরহান উদ্দিন ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তকে ৪০৬ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৪২০ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৪৬৭ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৪৬৮ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৪৭১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক।