রাজধানীর ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকায় এক প্রবাসীর বাসায় হানা দেওয়ার প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হোতা উজ্জল হোসেন ও তার সহযোগী মো. রাশেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। চক্রটি রঙ মিস্ত্রি বা ডিস লাইন ঠিক করার শ্রমিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ি প্রথমে রেকি করতো। পরে অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে তারা ওসব বাসায় হানা দিত। গত পাঁচ মাসে নারায়ণগঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চক্রটি সাতটি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। উজ্জ্বলের চক্রে অন্তত ১০ জন কাজ করে। তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাহিনীর মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় উজ্জ্বল ও রাশেদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, গুলির খোসা, সুইচ গিয়ার, চাপাতি, টর্চ লাইট, মোবাইলফোন, তিনটি ককটেল ও ৬ রাউন্ড খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। উজ্জল ব্যানার, বিলবোর্ড তৈরির একটি ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী। এর আড়ালে সে ডাকাত দল পরিচালনা করতো। ডাকাতি ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, সম্প্রতি ডেমরায় ডাকাত দলটি একটি চার তলা বাড়িকে টার্গেট করেছিল। ওই বাড়ির মালিক নিলুফা ইয়াসমিন অন্যান্য ফ্লোর ভাড়া দিয়ে দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে একা থাকেন। তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে আছেন। সম্প্রতি নিলুফার দুই ছেলেও দেশের বাইরে চলে যান। উজ্জল ও তার দল গত এপ্রিল মাস থেকে ডাকাতির জন্য বাড়িটি টার্গেট করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার তারা বাড়িটির ডিস সংযোগ কেটে দেয়। পরে ডিসের সংযোগ ঠিক করার শ্রমিক পরিচয়ে বাসাটি রেকি করে আসে। গত সোমবার বিকেলে তাদের ওই বাসায় হানা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে।
উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার জেলও খেটেছে। তার সহযোগী রাশেদের নামেও মামলা আছে। সোমবার গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানা