কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আ’লীগের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় ১২ টা পর্যন্ত আ’লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়।
চৌদ্দগ্রামের পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আমার বাড়িতে আ’লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভা করছিল। এ সময় রাস্তার ওপাশে এমপি মহোদয়ের নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হয়। থানা থেকে পুলিশ এসে আমার বাড়িতে সেই প্রতিবাদ সভা দেখে চলে যায়। প্রতিবাদ সভা শেষ করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় এমপি মহোদয়ের নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমার ভাইয়ের প্রাইম সুইটস দোকানের সার্টারসহ বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। আমাদের দুইজন লোক আহত হয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, মেয়র মিজান জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তিদের নিয়ে শান্তির চৌদ্দগ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি মেয়র মিজানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান আরো জানান, আমাদের নেতাকর্মীরা জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল বের করেছে। আর এই মিছিলে এমপির লোকদের হামলার বিষয়টি হতাশাজনক। এমপির লোকদের এই হামলা জামায়াত শিবিরকে উৎসাহিত করার শামিল।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সুত্র: আজকের কুমিল্লা