কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পান চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে। উপজেলার সদরে এই পানের বরজ তুলনামূলক বেশি।
সদর ইউনিয়নের বাড়াইটারী গ্রামের এই পান চাষকে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া আর্শীবাদ মনে করে পানচাষীরা। গত ১০ বছর পূর্ব থেকে বর্তমানে উপজেলায় পানের আবাদ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবিঘা জমির পানের বরজে মাটির আইল, বেড়া, ছাউনি, শ্রমিক, পানের লতাসহ ১ লাখ টাকা প্রাথমিক অবস্থায় খরচ হয়। পরবর্তী বছর থেকে প্রতি বছর লাভ হয় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। ১০-১৫ বছর পর্যন্ত পানের বরজ অক্ষুণ্ন থাকে।
উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের পান চাষি শ্রী ধীরেন চন্দ্র দাস নাগরিক খবরকে বলেন,আগে ২৪ শতক জমিতে পান চাষ করেছি।সপ্তাহে ২দিন পান তুলে হাটে নেই। এখন গড়ে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
একই অঞ্চলের কৃষক শ্রী পরিতষ দত্ত বলেন, আমার ঠাকুর দা সময় থেকেই আমাদের পরিবার পান চাষ করে। আগে তেমন লাভজনক ছিলো না। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, উপজেলার দুটি অঞ্চলে ৮ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। পাকৃতিক দূর্যোগে পানের তেমন ক্ষয়ক্ষতি নেই। গোড়া পচা এবং ছত্রাক জনিত রোগ না ধরলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।। উপজেলা থেকে পান চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হয়।