(বার), পিপিএম ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশের এ্যালিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। করোনা মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর নেতৃত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে র্যাবের অনবদ্য ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। করোনাকালে র্যাব সদস্যদের নিয়মিত অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা ছিল তাঁর জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পেশাদার কর্মকর্তা জনাব চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম এর কৌশলী কর্মপরিকল্পনা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে র্যাব আভিযানিক সফলতার ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরই পূর্বের বছরকে ছাড়িয়ে যায়।
র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে তাঁর উদ্যোগে অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক পোস্টার, ব্যানার ও ডিজিটাল বিলবোর্ডে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণার পাশাপাশি টেলিভিশনে জঙ্গিবাদ বিরোধী টিভিসি প্রচারের মত ইনোভেটিভ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ধর্মীয় চরমপন্থায় দীক্ষিত কিন্তু অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত হয়নি এমন ব্যক্তিদেরকে পুনর্বাসন এবং সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘নব দিগন্তের পথে’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া, তাঁর সময়কালে র্যাব বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি বিরোধী অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করে। তাঁর নির্দেশনায় র্যাব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও মাদকের বিস্তার রোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার ক্ষেত্রে র্যাব সদস্যদের দুঃসাহসিক অপারেশনের ওপর ভিত্তি করে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্র নির্মাণে তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-এ ভূষিত হয়েছেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
দেশের সীমানা ছাপিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, লাইবেরিয়া এবং দারফুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশের জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার শ্রীহাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্মাতক সম্মান ও স্মাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।