দেশের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র হলে অতীতের মতো রুখে দাঁড়াবে দেশপ্রেমিক পুলিশ। জঙ্গি দমনে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছেন অনেক বীর পুলিশ সদস্য।কিন্তু কোন অপশক্তিই আমদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে পিছপা হইনি। আমার বিশ্বাস দেশের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র হলে অতীতের মতো দেশপ্রেম দিয়ে আপনারা রুখে দিতে পারবেন।
আজ সোমবার ১৯ ডিসেম্বর সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সম্মেলন কক্ষে নভেম্বর ২০২২ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার,পিপিএম এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিসেম্বর মাস যদিও বিজয়ের মাস এ মাস ট্র্যাজেডির মাসও। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি কিন্তু বসে নেই, তারা ৭১ এর পর থেকে স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ বারবারই তাদের এই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনি। ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে পুলিশ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছে।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতেই গত নভেম্বর মাসের খাতওয়ারী অপরাধ বিবরণী পর্যালোচনা করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা তথা অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বাহা উদ্দিন ভূঁঞা। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী-বিভাগের যাত্রাবাড়ী-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হোসেন জাকারিয়া মেনন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রমনা বিভাগের ট্রাফিক-রমনা জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান ও ট্রাফিক গুলশান বিভাগের বাড্ডা-ট্রাফিক জোনের মোর্শেদা।
এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১৩ টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের উদ্দীপনা বাড়াতে প্রতিমাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।