কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি ১৯১৮ সনে স্থাপিত হলেও ভাড়ারত অবস্থায় এই অফিসটি বেহাল পড়ে রয়েছে।
সরকারি উদ্যোগের অভাবে এই অফিসটির নিজস্ব ভবন এখনও পর্যন্ত হয়নি। যদিও বাজিতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাবেক আওতাধীন নিকলী, কুলিয়ারচর, অষ্ট্রগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনা অফিসগুলো নিজস্ব ভবন হয়ে গেছে। ৫ উপজেলা বাজিতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আওতাধীন ছিল।
এই উপজেলা পৌর শহর সহ ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে পৌনে ৩ লক্ষ মানুষের বসবাস কিন্তু এই অফিসের কোন উন্নয়ন হয়নি। সরকারি ভাবে প্রতি বৎসর সরকার এখান থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছেন। বছরে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আগত সেবাগ্রহীতা জানান, অফিসের ভিতরে ও বাহিরে নাজুক পরিবেশ রয়েছে। এই পরিবেশে দলিল করতে এসে তাদের মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
বাজিতপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মাহাবুব হোসেন গতকাল দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, অফিসের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে মন্ত্রণালয়ে এই অফিসের নিজস্ব ভবনের কাজ করার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।