কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার এসএম তৌহিদ সোহেল হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে রায় ঘোষণার পরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদীর পরিবার। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেন মামলার বাদী নিহত যুবদল নেতা সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার লুনা।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার লুনা বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে আহসান হাবীব মিঠু ও তার ভাই মোস্তফা জামান। এছাড়াও আসামি আহসান হাবীব মিঠু আদালতে স্বাক্ষী দিয়েছে তার সহযোগী হাসানও খুনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। আদালত আজ পলাতক আহসান হাবীব মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও তার ভাই মোস্তফা জামান ও হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত হাসানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এখন বেকসুর খালাস পাওয়া আসামির জন্য রেইসকোর্স এলাকায় থাকা সম্ভব হবে না। আমি আমার ৩ সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সংবাদ সম্মেলনে বদরুন নাহার লুনা আরো বলেন, আদালতে রায় ঘোষনার অন্তত ৪/৫ দিন আগে রেসকোর্স এলাকার সবাই এ পাতানো রায় সম্পর্কে জেনে গেছে। আমরা এ রায় মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা রেইসকোর্স এলাকার বাসা থেকে একটু দূরে যুবদল নেতা এসএম তৌহিদ সোহেলকে ছুড়িকাঘাতে হত্যা করে রেইসকোর্স এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে আহসান হাবিব মিঠু। এ ঘটনায় মিঠু ও তার ভাই বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান ও মিঠুর সহযোগী শাহেদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হলে নিহত সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার লুনা।