কুমিল্লা শহরের রেইসকোর্স এলাকায় চাঞ্চল্যকর যুবদল নেতা এস এম তৌহিদ সোহেল (৪০) হত্যা মামলার রায়ে মামলার ২ ভাই সহ ৩ আসামীর মধ্যে ১ ভাই যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব মিঠুকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং অপর ভাই জেলা বিএনপি প্রচার সম্পাদক মোঃ মোস্তফা জামান ও বিএনপি নেতা মোঃ শাহেদ হাসানকে খালাস রায় প্রদান করেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন নগরীর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যা মামলার আসামী মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব মিঠুকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং মামলার অপর ২ আসামী মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামীর ভাই জেলা বিএনপি প্রচার সম্পাদক মোঃ মোস্তফা জামান ও বিএনপি নেতা মোঃ শাহেদ হাসানকে খালাস রায় প্রদান করেন।
হত্যা মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ আবদুল মান্নান এবং বাদীর পক্ষে এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মোঃ আলী আক্কাছ এবং এডভোকেট আহম তাইফুর আলম।
মামলার বিবরণে জানা যায় ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় এলাকার আধিপত্য বিস্তার এবং দলীয় সাংগঠনিক বিরোধের জের ধরে নিজের ঘনিস্ট বন্ধু যুবদল নেতা এস এম তৌহিদ সোহেলকে মিঠুরেইসকোর্স এলাকায় প্রকাশ্যে রাস্তায় জেলা যুবদল নেতা এস এম তৌহিদ সোহেলকে ঘাতক মিঠু পেটে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে ঘটনাস্থলে সোহেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর নিহত যুবদলনেতা এস এম তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন্নাহার লুনা কোতয়ালী থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৩ মাসের মধ্যে ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোতয়ালী থানার তদন্ত কর্মকর্তা হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে ২০১৫ সালের ৪ মার্চ এসটি ২৪৪/১৪ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যা মামলায় ২ সহোদরসহ ৩জন আসামীর মধ্যে ১ ভাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং অপর ভাইসহ ২ জনকে বেকসুর খালাস রায় প্রদান করেন।
চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায়ের পর আদালতে উপস্থিত মামলার বাদী নিহত যুবদল নেতা এস এম তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন্নাহার লুনা হত্যা মামলার রায়ে সন্তোশ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান বেকুসুর খালাশ প্রাপ্ত ২জন আসামীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করবেন।