কুমিল্লার চান্দিনায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করলো প্রেমিক সুমন মিয়া ও তার সাত বন্ধু। সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী প্রেমিকা বাদী হয়ে প্রেমিকসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার বেলাশহর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সুমন মিয়া, তেঘরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে হোসাইন মিয়া ,পশ্চিম বেলাশহর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহিদ হাসান, একই গ্রামের আসম আলীর ছেলে নাজমুল, মনু মিয়ার ছেলে সোহেল, হাড়িখোলা মাজার বাড়ির আবু শাহীনের ছেলে আবু মুছা, মোহনপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে সানাউল্লাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় চান্দিনায় টেক্সটাইল মিলের এক নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় সুমন মিয়ার। দুইজনের মধ্যে তিন মাস প্রেমের সম্পর্ক চলার পর অন্যত্র বিয়ে করেন ওই নারী শ্রমিক। প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিক সুমন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সুমন মিয়া তার প্রেমিকার মোবাইলে কল করে জানায় তার স্বামীকে আটক করে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে প্রেমিকা চান্দিনা হাড়িখোলা মাজার এলাকায় পৌঁছে সুমনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় প্রেমিকা তার স্বামীর খোঁজ জানতে চাইলে সুমন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাত যুবকের হাতে তুলে দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পুকুরপাড়ের এক নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই সাত যুবক।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দিনা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওবায়দুল হক জানান-প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা তদন্তাধীন আছে।
চান্দিনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামস্উদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, এ ঘটনায় প্রেমিক সুমনসহ আটজনকে আসামি করে থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই প্রেমিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারুক নামে এক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।