কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে ভাইকে হত্যা করে নিজ ঘরের মাটি খুঁড়ে লাশ পুতে রাখে বড় ভাই ইব্রাহীম। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রাম থেকে ১০দিন পর সোহেলের গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত মাসের ৩০ আগস্ট রাতে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে বড় ভাই ইব্রাহীম ছোট ভাই সোহেল মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে গুরতর আহত করলে সোহেল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।সোহেলের সাড়া শব্দ না পেয়ে কাছে গিয়ে দেখে মারা গেছে। একপর্যায়ে লাশ বস্তাবন্ধি করে একটি পরিত্যাক্ত ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখে বড় ভাই ইব্রাহীম। এ ঘটনার ১০দিন পর সোহেলকে খুঁজে না পেয়ে নিহতের ভাগিনা মাইনুদ্দিন বড় মামা ইব্রাহীমের কাছে সোহেল কোথায় আছে জানতে চাইলে ঘাতক ইব্রাহিম জানান ‘সোহেলকে কুমিল্লায় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে’। মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নাম জানতে চাপ দিলে ইব্রাহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দিলে সোহেলকে হত্যার পর নিজ বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত ঘরের মেঝে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে জানান। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসময় পুলিশ ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক রোজিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সোহেল তাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। ঘটনার দুইদিন আগে (২৮আগস্ট) সোহেল আমার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন। আমি এ বিষয়টি আমার স্বামী ইব্রাহীমকে জানালে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইব্রাহীম তার ছোট ভাই সোহেলকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ইব্রাহীমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রোজিনা বেগম এ হত্যাকান্ডের সাথে তার স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জড়িত বলে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দিয়েছেন।