অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। ধর্মীয় এই উৎসবটি নির্বিঘ্নে উদযাপনে এরইমধ্যে খুলনার কয়রা উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেকোনও গুজব প্রতিরোধে থাকবে মনিটরিং সেল।
কেউ যেন কোনও ধরনের অপতৎপরতার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল, গ্রামে গ্রামে গ্রাম পুশিল দিয়ে সচেতনতা তৈরী করা ও গোয়েন্দা নজরদারি। কোনও ধরনের শঙ্কা ছাড়াই পূজামণ্ডপগুলোতে এসে ভক্তরা ভক্তি জ্ঞাপন করতে পারবেন।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ উৎসবকে সামনে রেখে কয়রা থানা পূজা মন্ডপে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, শারদীয় দুর্গা উৎসব নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার থাকবে পুরো উপজেলা ব্যাপী। পূজায় মানুষের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন ও শান্তিময় করার লক্ষে কাজ করছে পুলিশ।কয়রা থানার ওসি এবিএমএস দোহা(বিপিএম) এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, মন্দিরের আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম) এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের টিম, পুলিশ সদস্য, কয়রা থানা এলাকার সকল দফাদার/চৌকিদার, স্ব-স্ব মন্দিরের সভাপতি, সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকার জনসাধারন দের সাথে মতবিনিময় ও বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন।সাথে সাথে পুলিশি টহল জোরদার করেন ।
দুর্গা পূজার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা(বিপিএম) বলেন, দুর্গা পূজা হচ্ছে সার্বজনীন উৎসব। আমাদের দেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো বাঙ্গালির উদার সামাজিকতা ও সম্প্রীতির উৎসব। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া পর্যন্ত এই পূজাকে ঘিরে কয়রা থানা পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি ও মহড়া অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে।
দফাদার ও চৌকাদারদের এলাকায় জনজগণের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তারা গ্রামের চুরি ডাকাতি ঠেকাতে তাদের দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দুর্গা পূজায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না জানিয়ে ওসি দোহা সকলের সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলায় দূর্গা পূজা পালিত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।