নামজারী সংশোধনের নামে ২৬ হাজার টাকা র্অথ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে সান্তাহার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী র্কমর্কতা মশিউর রহমান ও অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনেরে বিরুদ্ধে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার আদমদীঘি উপজলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড ) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মজিবর রহমান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দীনের ছেলে ফজলে আমিন ফটিক ও তার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী আফরোজা বেওয়া তাদের নিজাংশ ও দলিল সুত্রে মালিক হয়ে, ১৮/১৯ অর্থ বছরের ১২৩৯ ও ১০৮৭ নং নামজারী (খারিজ) করে ১৪২৬ সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করিয়া দখল ভোগ
করিয়া আছিতেছে। তাদের এক ওয়ারীশ উক্ত দুটি খারিজ কেস বাতিলের জন্য ২০২০ সালে উপজেলা ভুমি কমিশনার বরাবর মিস কেস দাখিল করেন। তৎকালিন সময়ে উপজেলা কমিশনার ভুমি মিসকেস পর্যালোচনা করে ১২৩৯ ও ১০৮৭ নং খারিজ কেস বাতিল করে মুল হোল্ডিংয়ে জমি ফেরত দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
পূর্বের খারিজের মালিক ফজলে আমিন তার ভাইয়ের বউ আফরোজা বেওয়া ও চাচাতো ভাই মজিবর রহমান সহ এই বিষয়টি জানার জন্য সান্তাহার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী র্কমর্কতা মশিউর রহমানের নিকট গেলে বাতিল হওয়া ২টি খারিজ কেস সংশোধন করে দিবে বলে ভুক্তভোগিদের নিকট ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করেন সান্তাহার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী র্কমর্কতা মশিউর রহমান ও অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীন। ভুক্তভোগীরা চুক্তির ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২০২০ সালে ১০ হাজার ও ২১ সালে ১৬ হাজার টাকা ভূমি উপ-সহকারী র্কমর্কতার নিকট প্রদান করেন। অর্থ গ্রহনের পর থেকে নামজারী (খারিজ) সংশোধন না করে কালক্ষেপেন করতে থাকে।
দীঘদিন নামজারী (খারিজ) সংশোধন না হলে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে ভূমি উপ-সহকারী র্কমর্কতা টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মজিবর রহমান নিরুপায় হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলা ভুমি কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা ভুমি অফিস সহায়ক হাসান আলী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডাক ফাইলের মাধ্যমে স্যারের নিকট দেওয়া আছে।
এ ব্যাপারে সান্তাহার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী র্কমর্কতা মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
নামজারী সংশোধন করার এখতিয়ার তার অফিসের নেই। নামজারী সংশোধন করার নামে কোন টাকা গ্রহণ করা হয়নি। অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, নামজারী বাতিল হয়েছে তবে সংশোধনের জন্য কোন রকম টাকা নেওয়া হয়নি । অভিযোগকারী মজিবর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি (ভারপ্রাপ্ত ) উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রাবনী রায় বলেন, অভিযোগ পত্র হাতে পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।