খুলনা জেলার কয়রা থানার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আমতলা গ্রামের আছাদুল গাজী ও জাহান আলী সানা গংদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কয়রা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আছাদুল গাজী ও জাহান আলী সানা গংদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ সরদার বাদী হয়ে মামলা করেছে মামলা নম্বর সিআর ৫২০/২২।
মামলা ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, ১৯৫৬ সালের জুন মাসের ৮ তারিখে আমার মা কাজলী বিবি ও ভানু বিবি কোদাই গাজীর নিকট হতে কবলায় জমি খরিদ করেন। যাহার সিএস খতিয়ান নম্বর -৪১,এসএ খতিয়ান নম্বর-৯৫। ওই দলিলে দাগ নম্বর ভুলক্রমে লিপিবদ্ধ হলে কাজলী বিবি ও ভানু বিবি দাগ সংশোধনের জন্য খুলনা সাব জজ-৪ আদালতে মামলা করেন যাহার নম্বর দেওয়ানী-৩৭১/৭৮ এবং উক্ত মামলায় দাগ সংশোধিত হয়। কাজলী বিবি ও ভানু বিবি পরবর্তীতে মিউটেশন করে আলাদা খতিয়ান করে যাহার নম্বর এসএ-৯৫/১।
তিনি আরো জানান কোদাই গাজীর নাতি আছাদুল কাজলী বিবি ও ভানু বিবির দলিলের বিরুদ্ধে মামলা করে যাহার নম্বর দেওয়ানী-১৬৭/১৭, আছাদুল নিশ্চিত মামলাটি হেরে যাবে এটা বুঝতে পেরে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী অর্থাৎ কাজলী বিবি ও ভানু বিবির ওয়ারেশ আব্দুর রশিদ সরদার কয়রার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য একটা মামলা করে যাহার নম্বর দেওয়ানী-২০৪/২২, উক্ত মামলায় আছাদুল গংদের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ করে ও ২৫/৮/২২ তারিখে প্রাপ্ত হইয়াও আছাদুল ও জাহান আলী গংরা ৫/৯/২২ তারিখ রাতের আধারে জমি দখল করে ভুক্তভোগীর চাষকৃত জমিতে ধান রোপন করে।
ভুক্তভোগী কান্না কন্ঠে আরো জানান সর্বশেষ জরিপে ও তাহাদের নামে রেকর্ড হয়েছে, যাহার খতিয়ান নম্বর ১৭৭৮ ডিপি ৭০৮।
সরেজমিনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর সরদার প্রতিবেদককে বলেন, আমি জন্মের পর হতে ভুক্তভোগীদের অর্থাৎ আব্দুর রশিদ সরদারের পিতাকে উক্ত জমিতে চাষ করে ফসল ফলাতে দেখে আসছি। স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড আনসার দলপতি মজিবর গাজী, ফজর গাজী, জিল্লাপ শিকারী সহ স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন উক্ত জমি রশিদের পিতা করে আসছে তার পিতার মৃত্যুর পরে রশিদ চাষ করে ফসল ফলায়।
এ ব্যাপারে আছাদুল গাড়ীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার পরেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জাহান আলী সানার মুঠোফোনে কল দিলে তাহার ছেলে আহসান রিসিভ করে জানান জায়গাটা তার দুলাভাই আছাদুলের বাবার জায়গা এজন্য তারা ধান রোপন করেছে।