নারায়ণগঞ্জে এলপিজির সিলিন্ডার মুল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন প্রকারভেদে সিলিন্ডার প্রতি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, আবার অনেক স্থানে তিনশ থেকে চারশ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিলাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন আবার ডিলিররা বলছেন কোম্পানি থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।
শহরের খুচরা দোকানগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে দুদিন আগে ১২ লিটার এলপিজির সিলিন্ডার বিক্রি হতো ১৩০০ টাকায় সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়। একইভাবে ৩৫ লিটার সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
চা দোকানি আফতাব নাগরিক খবরকে বলেন, ‘গত সপ্তাহেও ১২ লিটারের সিলিন্ডার কিনেছি ১৩০০ টাকা দিয়ে। সোমবার সেই গ্যাস কিনতে হয়েছে ১৪০০ টাকায়। এভাবে কয়েকদিন পরপরই দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে চায়ের দামে। আমাদের তো আসলে কোনো উপায় নেই।’
কথা হয় খাজা হাফেজীয়া মোটর ওয়ার্কসপের মালিক মো. হেলালের সঙ্গে। তার ওয়েল্ডিং কাজের জন্য গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, কয়দিন পরপরই গ্যাসের দাম বাড়ে। একসময় গ্যাস কিনতাম ৭০০ টাকায়। সেই গ্যাস এখন বেড়ে ১৪০০ টাকা হয়েছে। প্রত্যেক জিনিসের দামই অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সাদেক সিয়া বলেন, ‘তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরদিন থেকেই আমাদের ১২ লিটারের সিলিন্ডারের গ্যাস ১৩০০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বড় সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে বেশি নিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আসলে আমাদের কোনো লাভ নেই। ডিলাররা আমাদের কাছে যে দামে বিক্রি করে, আমাদেরও সেভাবে বিক্রি করতে হয়। ভোগান্তির শিকার আমাদেরই হতে হয়। একদিকে খুচরা ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যায় আবার ডিলাররাও আমাদের কথা শোনায়। প্রত্যেকবারই দাম বাড়ে আর আমাদের কথা শুনতে হয়।’
গ্যাস বাজারের প্রোপাইটার মো. শাকিল শাহ বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনোরকমের ঘোষণা ছাড়াই গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের তো আসলে কিছু করার নেই। আমরা যেভাবে কিনি সেভাবেই তো বিক্রি করতে হয়। কিছুদিন পর পর বাজার আপডাউন করে। আজকে যেটা ১৩০০ টাকা বিক্রি করেছি কাল সেটা ১৩৫০ টাকায় কিনে আনতে হয়।’
সাদিক এন্টারপ্রাইজের ডিলার শফিক বলেন, ‘কোম্পানিগুলো লিটার প্রতি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ৭ টাকা করে। তাই এখন লিটার প্রতি ৭ টাকা বেশি করে কিনতে হচ্ছে। সে হিসেবে ১২ লিটার সিলিন্ডার গ্যাসে দাম ৮৪ টাকা বেড়েছে। তারা বেশি দাম রাখছে যার কারণে আমাদেরও বেশি দাম নিতে হচ্ছে। আবার সেটা হয়তো আগামী দিনে আরও বেশি দামে কিনতে হতে পারে। এভাবে প্রতিদিনই দাম আপডাউন হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান নাগরিক খবরকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এরকম কোনো অভিযোগ আসে নাই। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। বিক্রেতাদের সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করতে হবে। আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখছি। যদি বেশি দামে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযান পরিচালনা করা হবে। জানি