খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন চৌকুনী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে যথাযথ প্রচার ও ভোটার তালিকা তৈরি না করে সুকৌশলে পকেট কমিটি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের একটি পক্ষ নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবিতে রবিবার ( ৭ আগস্ট) কয়রা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলার পাশাপাশি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
মামলার আরজি ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদ্রাসাটির এডহক কমিটির আহবায়ক ইউপি সদস্য মো. আলমগীর সানা ও মাদ্রাসার সুপার জিএম বজলুর রহমানের যোগসাজচ্ছে নিয়মের তোয়াক্কা না করে চুপিসারে পকেট কমিটি করার জন্য হঠাৎ তফসিল ঘোষণা করে। বিগত সময়ের সভাপতিসহ অন্যান্য অভিভাবকরা তফসিল ঘোষণার বিষয়ে জানতেন না। এছাড়া এলাকায় কোন মাইকিং কিংবা নোটিশ ঝুলানো হয়নি। তাছাড়া ভোটার তালিকা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাদের অভিযোগ একতরফ নির্বাচন করার জন্য গোপনে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদি মো. নূর বকস মোল্লা জানান, মাদ্রাসার সুপার ও এডহক কমিটির আহবায়কের যোগসাজসে একতরফা নির্বাচন করার জন্য আমাদেরকে না জানিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ফলে আমার ইচ্ছা থাকার পরেও প্রার্থী হতে পারিনি।
এ ব্যাপারে মোঃ নুর বকস মোল্যাসহ আদম গাজী, মফিজুল সরদার, মামুদ লস্কর, জহিরুল ইসলাম, রফিকুল গাজী, মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে কয়রা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ১৯২/২২ নং ঘোষণা বাবদ ও ম্যান্ডেটরী নিষেধাজ্ঞা বাবদ মোকদ্দমা দাখিল করে নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগের আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে আইনজীবী প্রত্যয়নে ও একই কথা লেখা আছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার জিএম বজলুর রহমান মুঠোফোনে নাগরিক খবরকে জানান, নির্বাচন সম্পর্কে প্রতিটি শেণিকক্ষে বিজ্ঞপ্তি জানানোর পাশাপাশি ৩১ জুলাই বিভিন্নস্থানে ছাটানো হয়েছে। তবে মাইকে প্রচার করা হয়নি। এছাড়া তিনি আরো জানান মাদ্রাসায় শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম পর্যন্ত মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ১৫ জন, শিক্ষক ৪ জন।
মাদ্রাসার এডহক কমিটির আহবায়ক ও ইউপি সদস্য মো. আলমগীর সানা অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, একটি কু-চক্রী মহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য ও উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারা বিভিন্নস্থানে অভিযোগ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যথাযথ নিয়মে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে এলাকায় হ্যান্ড মাইকিং করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার জানান, বিধি মোতাবেক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমার কাছে এ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে কেউ অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।