নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশেই ছুরিকাঘাতে সজিব (২৫) নামের এক যুবক খুনের ঘটনায় ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের বাবা কামাল হোসেন।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন তিনি। মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- সিয়াম (১৮), সাব্বির (১৮), তৈয়্যব (১৮), রাহাত (১৮), লিংকন চন্দ্র দাস (১৮), নাজমুল (১৮) ও রাকিব (২০)।
মামলার বাদী কামাল হোসেন নাগরিক খবরকে জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের খেলার মাঠ থেকে তৈয়্যব তার ছেলে সজীবকে ডেকে নিয়ে যান চাঁদমারী নীট হাউসের সামনে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার ছেলেকে অভিযুক্ত আসামিরা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার ছেলের চিৎকারে বন্ধু রিফাত এগিয়ে গেলে তাকেও আসামিরা ছুরিকাঘাত করে।
পরে সজিব ও রিফাতের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে পথচারীরা শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীবকে মৃত ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে রিফাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার হাজীগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিপ্লব কুমার চৌধুরী বলেন, সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে মামলায় উল্লেখিত ৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে গ্রেফতারদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে আরো পাঁচজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
৩১ জুলাই রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় গলিতে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় নিহত হন সজিব ও আহত হন রিফাত।