1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন কু‌মিল্লায় র‌্যা‌বের অ‌ভিযা‌নে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ১ যুক্তরাষ্ট্রসহ বি‌শ্বের বি‌ভিন্ন দে‌শে ফি‌লি‌স্তি‌নি‌দের প‌ক্ষে বি‌ক্ষোভ চল‌ছে হামা‌সের হামলায় তিন ইসরা্ই‌লি সেনা নিহত

নদী‌তে বিলীন কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন

নাগরিক খবর অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ১৬৪ বার পঠিত

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় যমুনা নদীর আকস্মিক ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন। গতকাল শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ফজলুপুর চরে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ধসে যমুনার গর্ভে তলিয়ে যায়।
শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম মিয়া।

১৫ দিন আগেও যমুনা নদীর ভাঙন এলাকা থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বে ভবনটির অবস্থান ছিল। সম্প্রতি ভবনটি নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর কিছু অংশে ভাঙার কাজ চললেও হঠাৎ ভাঙনের তীব্রতায় পুরো ভবনটি চলে যায় নদী গর্ভে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুম মিয়া নাগ‌রিক খবর‌কে জানান, ১৯৯১ সালে কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে দ্বিতল ভবনটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। এই ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছিল। পানি কমার কারণে যমুনার ভাঙনের মুখে পড়ে ভবনটি। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ভবনটির পুরো অংশই নদীতে দেবে যায়। বর্তমানে এখন ভবনটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিই চলে গেছে নদীর বুকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো ভবন নেই। তবে পাশেই নিজের আরেকটি জমিতে বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে অবকাঠামো নির্মাণে হাতে কোনো অর্থ নেই। সরকারি সহযোগিতা না পেলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধের আশঙ্কা করছি।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিন আগেও বিদ্যালয়টি নদী থেকে দেড়শ মিটার দূরে ছিল। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সাথে নদী ভাঙনে বিদ্যালয়টি যমুনার গর্ভে বিলীন হয়। এছাড়া ভাঙনে কাউয়াবাধাসহ দক্ষিণে চৌমহন, পশ্চিমে কোচখালী, মানিকচর ও গুপ্তমনি গ্রামের রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা বিলীন হয়েছে। অথচ ভাঙন রোধে জিও ব্যাগে বালুর বস্তা ফেলা ছাড়া কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসন একাধিকবার পরিদর্শনে এসে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি আজো। এমনকি ভাঙনে প্রতিবছর নিঃস্ব মানুষরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও তাদের খোঁজ রাখেনি কেউ।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ জানান, যমুনার ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। প্রতি বছরই নদী ভাঙনের তীব্রতার সঙ্গে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে শতশত পরিবার। বিদ্যালয়টি নতুন করে নির্মাণ করাসহ জনগণের জানমাল রক্ষায় দ্রুত পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত জায়গা নির্ধারণ করে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com