1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডি‌বির পৃথক অ‌ভিযা‌নে ইয়াবা ফে‌ন্সি‌ডিল আটক ৩ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত – এম সাখাওয়াত হোসেন দে‌শের প্রয়োজ‌নে বিএনসিসির সদস্যরা বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ কর‌বে – সেনাপ্রধান কু‌মিল্লায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে পু‌লিশ সুপা‌রের মত‌বি‌নিময় নারায়নগন্জ মহানগর বিএনপির র‍্যালিতে কৃষক দলের অংশগ্রহন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগ‌ঞ্জে বিএন‌পির র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

৬ মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৩ শ্রমিক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২
  • ১২৫ বার পঠিত

গত ছয় মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৩৩৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা গত বছরের (২০২১) থেকে কিছুটা বেশি। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস)।

সংস্থাটি জানায়, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্য বের করা হয়।

এতে দেখা যায়, গত ছয় মাসে সারাদেশে ২৪১টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৩৩৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৯ জন নিহত হয়েছেন সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে। ২০২১ সালে একই সময়ে সারাদেশে ২২০টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৩০৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন।

মোট ২৬টি দৈনিক সংবাদপত্র (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যে সব শ্রমিক কর্মক্ষেত্রের বাইরে অথবা কর্মক্ষেত্র থেকে আসা-যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বা অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন তাদের জরিপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহনখাতে, যার সংখ্যা মোট ১৩৮ জন। এরপরই রয়েছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন-ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান) ১০০ জন। নির্মাণখাতে নিহত হয়েছেন ৪৮ জন, কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা ২৬ এবং কৃষিখাতে ২১ জন।

মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৩, আগুনে পুড়ে ৫৭, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২৫, ছাদ ও শক্ত কোনো বস্তুর আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ২৩ জন, মাচা বা ওপর থেকে পড়ে ১৯, বজ্রপাতে ১৫, বয়লার বিস্ফোরণে ১৫, রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ও পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে নয়জন, পাহাড়-মাটি-ব্রিজ-ভবন ও দেওয়াল ধসে নয়জন মারা গেছেন। এছাড়া পানিতে ডুবে নিহত হয়েছেন আট শ্রমিক।

জরিপের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপরোয়া যান চলাচল ও অদক্ষ চালক পরিবহন দুর্ঘটনার মূল কারণ।

এছাড়া আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এসআরএস জানিয়েছে, কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, কেমিকেল সংরক্ষণে অদক্ষতা ও অবহেলা, কারখানায় জরুরি বহির্গমন পথ না থাকা, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেওয়া, সেফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া।

বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনে সংযোগ দেওয়া, ভেজা হাতে মটর চালু করা, মাথার ওপরে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, ভবনের পাশে দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে লোহার রড উঠানো।

এসআরএস’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, পরিবহনখাত নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে। অন্যথায় বাড়তেই থাকবে দুর্ঘটনা।

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে মালিকদের অবহেলা এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যথাযথ পরিদর্শনের ঘাটতি এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com