শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জন্মদিনের কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করার দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে আসামিপক্ষ।
আসামিরা হলো- উপজেলার সাজনপুর দাসপাড়া গ্রামের অসীম দাসের ছেলে অর্পণ দাস (১৯), কোমল দাসের ছেলে দুর্জয় দাস (১৯) এবং দক্ষিণ মহিষার গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে মুবদি সরদার (১৮)।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে সাজনপুর বাজার থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রধান আসামি অর্পণের বাড়িতে নিয়ে যায় দুর্জয় ও মুবদি। সেখানে অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে কিশোরীকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে অর্পণ। ধর্ষণে সহযোগিতা এবং ভিডিও ধারণ করে দুর্জয় ও মুবাদি। পরে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় দুর্জয় ও মুবদি। সে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ৫ জুন ভেদরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করে ওই কিশোরী। তবে দুই সপ্তাহ পরও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর পরিবারের।
কিশোরী নাগরিক খবরকে জানান, আসামিরা তার সঙ্গে একই স্কুলে পড়ালেখা করে। সহপাঠী হওয়ায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হয়েছিল সে।
ওই কিশোরী আরও বলেন, আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ওদের বিচার চাই। আসামিরা অনেক প্রভাবশালী, তারা বিভিন্ন চাপ দিচ্ছে। সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা, দিতে পারব কিনা জানি না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব সূত্রধর বলেন, ধর্ষণ এবং ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুত্র:স