এবছর হজ ফ্লাইট শুরু হয় গত ৫ জুন। শনিবার (১১ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫টি ফ্লাইটে মোট ৬ হাজার ১৩ জন যাত্রী হজে গেছেন। তাদের মধ্যে একজনও হজ কার্যক্রম নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
তার দাবি, হজ পরিচালনার কাজে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে অভিযোগও নেই।
রোববার (১২ জুন) হজ কার্যক্রম নিয়ে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, তা হলো ৩১ তারিখ ফ্লাইট যাওয়ার কথা ছিল, সেটা পিছিয়ে হঠাৎ ৫ জুন নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। সে সময়ে সবকিছু পরিবর্তন করাটাও একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল। কিন্তু আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ভিসা হয়েছে ৩ হাজার ৪১৫ জনের ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১ হাজার তিনজনের। ভিসা পেতে জটিলতার কোনো অভিযোগও পাননি বলে জানান পরিচালক।
এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে বেসরকারিভাবে ভিসা পেতে কোনো হজযাত্রীকে হয়রানি হতে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি সমস্যা হতো, তাহলে আমরা জানতে পারতাম। আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি।
হজক্যাম্পে অবস্থানরত যাত্রীদের সার্বিক সহায়তায় কোনো ঘাটতি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
রোববার (১২ জুন) হজ অফিসের অভ্যন্তরে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় বসে আছেন মো. গোলাম হোসেন। বগুড়া থেকে এসেছেন তিনি। হজ অফিসের ডরমেটরিতে এক রাত অবস্থান করেছেন ৫৯ বছর বয়সী এই যাত্রী। কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে জাগো নিউজকে বলেন, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে বিছানাগুলো অগোছালো। যেসব যাত্রী বের হয়ে যাচ্ছেন তারা বিছানা অগোছালো করে রেখে যাচ্ছেন। সেগুলো আমাদেরই গুছিয়ে নিয়ে তারপর থাকতে হচ্ছে। এতটুকুই।
পরোক্ষণে নিজের অভিযোগের উত্তর নিজেই দেন তিনি। বলেন, এত বড় আয়োজন, এত মানুষ। বিছানা অগোছালো থাকা তো সামান্য কিছু। এটা থাকবেই। এটা বড় কিছু নয়।
এবছর মোট হজযাত্রী ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোট ৬৫টি, সৌদিয়ার ৫৪টি ও ফ্লাই নাসের ১২টি ফ্লাইটে এসব যাত্রীদের নেওয়া হবে।