দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিরুজ্জামানকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থলে কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আলীকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় কুমিল্লা মহানগর বিএনপির ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে মহানগর যুবদলের সভাপতি উৎবাতুল বারীকে ১৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা ওরফে টিপুকে সদস্যসচিব করা হয়।
কুমিল্লায় বিএনপির তিনটি কমিটি ঘোষণা, মহানগরে প্রথম
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান ও সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন রাত ১১টায় কুমিল্লা নগরের বাদুরতলা এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান। এতে কমিটি নিয়ে তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে দাবি করেন। ইউসুফ মোল্লাকে সদস্যসচিব করায় উষ্মা প্রকাশ করেন আমিরুজ্জামান। উৎবাতুল বারীকে ১৪ নম্বর আহ্বায়ক করায় ক্ষুব্ধ হন আমিরুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে একই সঙ্গে কমিটি থেকে পদত্যাগের মৌখিক ঘোষণা দেন। ওই দিন রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আমিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি দলের সিদ্ধান্তের চিঠি পেয়েছি। কিন্তু দল থেকে পদত্যাগ করিনি। তবু আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।