নেত্রকোনার মদনে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে শিমুল রানা নামের ওই যুবকের বাড়িতে ওঠেন তিনি।
শিমুল রানা নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের সঞ্জু মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে একটি বাহিনীতে কর্মরত। তরুণীর বাড়ি একই উপজেলায়।
তরুণীর ভাষ্যমতে, শিমুল রানা নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালে কলেজে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ময়মনসিংহ শহরে বন্ধুর বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন শিমুল। পরে ২০২১ সালের ১৩ মার্চ তারা বিয়ে করেন। একমাস আগে শিমুল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর বিয়ের দাবিতে বিকেল ৩টা থেকে শিমুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, ‘শিমুল রানার সঙ্গে তিন বছর ধরে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিয়েও করেছি। একমাস আগে শিমুল জানান, এ বিয়ে তার পরিবার মেনে নেবে না। এরপর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শিমুল। পরে কোনো উপায় না পেয়ে আমি বিয়ে ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছি।
তরুণীর অভিযোগ, শিমুলের বাড়িতে উঠতেই পরিবারের লোকজন তাকে মারপিট করেন। তাকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি শিগগির আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত শিমুল রানার বাবা সঞ্জু মিয়া বলেন, ‘বিকেল থেকে মেয়েটি আমার ছেলের বউ দাবিতে ঘরে উঠেছে। এতো করে বোঝানোর পরও কোথাও যাচ্ছে না। তার সঙ্গে সামান্য রাগারাগি হয়েছে তবে কোনো মারপিট করা হয়নি।
এ বিষয়ে কাইটাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল বলেন, ‘আমি এখন এলাকার বাইরে আছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিমুল রানার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।